অনলাইন ডেস্ক।
ফের ডায়মন্ড হারবার মডেলের প্রশংসা চিকিৎসক কুণাল সরকারের। যেভাবে ডায়মন্ড হারবারে করোনা টেস্টিং আজ হয়েছে, সেই মডেল ফলো করার পরামর্শ দিলেন তিনি। বুধবার রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৩০.৮৬%। রোজই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে বেশি পরিমাণে টেস্ট করানো ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই, আরও একবার সেটাই মনে করালেন চিকিৎসক কুণাল সরকার।
দুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধরনের সমাবেশ বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক হোক বা ধর্মীয়, এই পরিস্থিতিতে সবরকম সমাবেশ বন্ধের কথা বলেছিলেন তিনি। এমনকী করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মাঝে ভোট না করার কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছিলেন ডাক্তার কুণাল সরকার। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক।
গত শনিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতায় বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ডায়মন্ড হারবারেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ হয়েছে৷ ডায়মন্ড হারবার মহকুমা এলাকায় ওয়ার্ড, ব্লক এবং পঞ্চায়েত ধরে ধরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে৷ এর পরই দিনে ৩০ হাজার টেস্টের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিনের শেষে ডায়মন্ড হারবারে আরটি- পিসিআর পরীক্ষার সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, গত সাত দিনে পশ্চিমবঙ্গের সব লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ডায়মন্ড হারবারেই সংক্রমণের হার সবথেকে কম৷ ডায়মন্ড হারবার থেকে করোনা নির্মূল করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। সেই মতো যা যা পদক্ষেপের প্রয়োজন সেগুলি করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এদিকে, আরও একবার ডায়মন্ড হারবার মডেলের প্রশংসা করলেন চিকিত্সক কুণাল সরকার।
কীভাবে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ কমানো যায়, তার পথ বাতলে দিলেন কুণাল সরকার। এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, ”টেস্টের সংখ্যা আরও অনেক বাড়াতে হবে। তা হলেই একমাত্র সংক্রমণের হার কমানো যেতে পারে। অবিলম্বে ডায়মন্ড হারবারের মতো টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তবে এখনও গঙ্গাসাগরের প্রভাবের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সুত্রঃ নিউজ এইটটিন।
Leave a Reply